যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে এবারও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ। এরা সবাই সরকার গড়তে যাওয়া লেবার পার্টির সদস্য। চারজনই আগেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজয়ীরা হলেন, ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে রুপা হক, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন থেকে আসন থেকে টিউলিপ সিদ্দিক, বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড স্টেপনিগ্রিন আসন থেকে রুশনারা আলী, পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে আফসানা বেগম।
রুপা হক এর আগেও ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপও এ নিয়ে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
লেবার পার্টির আরেক বিজয়ী ব্রিটিশ–বাংলাদেশি প্রার্থী রুশনারা আলী এ নিয়ে পঞ্চমবার দেশটির পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করবেন। আর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির আরেক প্রার্থী আফসানা বেগম।
এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টি মোট ৮ ব্রিটিশ বাংলাদেশিকে মনোনয়ন দেয়। এই চারজন ছাড়া বাকিরা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি। প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরেছেন গর্ডন অ্যান্ড বোচান আসনে লেবার পার্টির মনোনয়ন পাওয়া নুরুল হক আলী, ব্রিগ অ্যান্ড ইমিংহাম থেকে নাজমুল হোসাইন, উইথহামের রুমী চৌধুরি আর নর্থাম্পটনশায়ার সাউথের রুফিয়া আশরাফ।
অন্যদিকে, এবারের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রার্থীই পরাজিত হয়েছেন। এরা হলেন, লন্ডনের টটেনহাম আসন নির্বাচন করা আতিক রহমান ও ইলফোর্ড সাউথের সৈয়দ সাইদুজ্জামান।
এই দুই দলের বাইরেও অন্য রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ–বাংলাদেশি নির্বাচনে প্রার্থীতা করেছেন। এদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে মনোনয়ন পান ৬ জন। তবে এদের কেউই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি।
এরা হলেন, ইলফোর্ড সাউথ থেকে গোলাম টিপু, বেডফোর্ডে প্রিন্স সাদিক চৌধুরি, হেকনি সাউথে মোহাম্মদ সাহেদ হোসাইন, আলট্রিচহাম অ্যান্ড সেল ওয়েস্টে ফয়সাল কবির, ম্যানচেস্টার রসলমোতে মোহাম্মদ বিলাল আর স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বো আসনে পরাজিত হয়েছেন হালিমা খান।
রিফর্ম পার্টির মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র ব্রিটিশ–বাংলাদেশি রাজ ফরহাদও ইলফোর্ড সাউথ আসন থেকে হেরেছেন। নির্বাচনে হেরেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস থেকে মনোনয়ন পাওয়া রাবিনা খানও। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্ট্যাটফোর্ড অ্যান্ড বো থেকে।
স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া নাজ আনিস মিয়াও পরাজিত হয়েছেন। তাঁর নির্বাচনী আসন ছিল ডুনফারমলাইন অ্যান্ড ডলার।
এবারের নির্বাচনে গ্রিন পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া ৩ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রার্থীই পরাজিত হয়েছেন। এরা হলেন ইলফোর্ড সাউথ থেকে নির্বাচন করা সাইদ সিদ্দিকী, ওল্ডহাম ওয়েস্ট অ্যান্ড রয়টনে সাইদ শামসুজ্জামান শামস এবং লেস্টার সাউথ আসনের শারমিন রাহমান।
সোশ্যালিস্ট পার্টির মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রার্থী মমতাজ খানম।
দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ। তবে এরা কেউই জয়ী হতে পারেন নি। প্রার্থীরা হলেন-ওয়েইছ ইসলাম, আজমাল মাশরুর, সুমন আহমেদ, সাম উদ্দিন, এহতেশামুল হক, ওমর ফারুক, নিজাম আলী, নূরজাহান বেগম, হাবিব রহমান, আবুল কালাম আজাদ এবং রাজা মিয়া।